ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের পদ্ধতি Methods of earning money from blogging 2020

 
how to make money blogging,ব্লগিং করে আয়,make money blogging,how to make money blogging step by step,blogging for beginners,blogging,ব্লগ কিভাবে তৈরি করে গল্প লিখে টাকা আয়,গল্প লিখে টাকা আয়,blogging for money,make money online by blogging,how to earn money by blogging,how to make money blogging for beginners,ব্লগিং করে টাকা আয়,make money online,টাকা আয় করুন ঘরে বসেই,how i make money blogging,ব্লগ তৈরি করে আয়,earn money online,how to make money online by blogging

অনেকেই বলে থাকেন, বাংলাদেশে এখনও ব্লগ থেকে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু এই দেশের এমন ব্লগাররা রয়েছেন যারা তাঁদের ব্লগ থেকে মাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। জানতে হবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি, আর তাহলেই আপনার ব্লগটিই হবে আপনার ভবিষ্যতের আয়ের পথ।

কয়েক বছর আগেও  নিজের লেখা গল্প, কবিতা কিংবা প্রবন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। বড় পত্রিকায় নিজের লেখা ছাপার সুযোগ পান খুবই কমসংখ্যক লেখক। আর এই লেখা থেকে আয় সে সুযোগ তো মেলে ভাগ্যবানদের তবুও তা নেহাতই অল্প। কিন্তু এই কয়েক বছরে বদলে গেছে গোটা চিত্র। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌছেছে তারই হাত ধরে সুযোগ তৈরি হয়েছে ব্লগিংয়ের। নিজের গল্প/কবিতা থেকে শুরু করে, মতামত, ছবি সবকিছুই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় ব্লগের মাধ্যমে। নিয়মিত লিখতে লিখতে তৈরি হয়ে যায় ফ্যান ফলোয়ার। আর এই ফ্যান বা ভিজিটররাই আপনার ব্লগের  আয়ের হাতিয়ার।

বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম

ব্লগ থেকে ইনকাম করার  সবথেকে সহজ ও প্রচলিত উপায় হলো বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা। যদি আপনি প্রথমবার আপনার ব্লগ থেকে আয়ের কথা ভাবেন তাহলে বেছে নিন। সারা পৃথিবীতেই ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে তা থেকে আয় একটি অন্যতম উপায়। বাংলাদেশেও তা সমান জনপ্রিয়। আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করুন, পাঠক যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলেই মিলবে কমিশন।

ব্লগার এবং বিজ্ঞাপনদাতা উভয়ের মধ্যেই সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কটি হল বিজ্ঞাপন।্Google AdSense তারপর যথাক্রমে BidVertiser এবং Infolinks এর মতো অন্য নেটওয়ার্ক কিন্তু মনে রাখতে হবে অন্য পাবলিশার্স এর বিজ্ঞাপন এড করলে Google AdSense পাওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।

আপনার পছন্দের নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন প্রকাশক হওয়ার জন্য আবেদন করুন।  আপনার আবেদন গ্রান্টেড হলে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের তরফ থেকে তা জানিয়ে আপনাকে একটি মেল করা হবে।  এরপর আপনাকে পাঠানো হবে বিজ্ঞাপন কোড যা আপনি আপনার ব্লগে প্রকাশ করবেন। আপনি আপনার পছন্দ মতো জায়গায় এটি প্রকাশ করতে পারেন, যেমন আপনি এটিকে লেখার মাঝে বা লেখার পাশের বারে রাখতে পারেন।  আপনি বিজ্ঞাপন কোডটি ঠিক স্থানে রাখার দু’ঘন্টার মধ্যেই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তা আপনার ব্লগে প্রকাশ করা হবে এবং বিজ্ঞাপনটি আপনার ব্লগে দেখাবে। এবার আপনার পাঠকরা ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই পয়সা জমা পড়বে আপনার অ্যাকাউন্টে। কত টাকা পেতে পারেন প্রতি ক্লিকে ০.০১ থেকে ৫০ ইউএস ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। আপনার ব্লগের বিষয়ের ওপরই নির্ভর করে এই আয়, কারণ ব্লগের বিষয়ের ভিত্তিতেই দেওয়া হয় বিজ্ঞাপন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং  একটি অন্যতম আয়ের পথ। আপনার ব্লগে লেখার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের  পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগটি কি ধরণের এবং আপনার পাঠকরা কী কিনতে চাইতে পারে সেটি বুঝে নিতে হবে। প্রচার করার সময়ও হতে হবে সাবধানী, পাঠক আপনার লেখা পড়তে আপনার ব্লগে আসেন, সারাক্ষণ পণ্য বা পরিষেবার প্রচার দেখলে তিনি বিরক্ত হতে পারেন। কীভাবে কাজ করে- লেখার সঙ্গে পণ্য বা পরিষেবাটির লিঙ্ক আপনার ব্লগে প্রকাশ করতে হবে। যখন পাঠক সেই লিঙ্কে ক্লিক করবেন বা কিনবেন আপনি কমিশন পাবেন।

 প্রথমেই বেছে নিন কোন পণ্য বা পরিষেবার মার্কেটিং করতে চান Amazon  বা flipkart  মতো কোম্পানিতে মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট হিসেবে সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পছন্দের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন পত্র পূরণ করুন। বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই ২৪-৭২ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় আপনার আবেদন গৃহীত হল কি না। আবেদন গৃহীত হলে আপনার অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্টটিতে লগ-ইন করে বেছে নিতে পারেন আপনার ব্লগের জন্য উপযুক্ত লিঙ্কটি। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে আয় করার জন্য আপনি এবার প্রস্তুত। এরপর যখনই কেউ ওই লিঙ্কে ক্লিক করবে অথবা পণ্য বা পরিষেবাটি কিনবে আপনি তা থেকে কমিশন পাবেন। কত টাকা পেতে পারেন- বিক্রয়মূল্যের ২.৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ অবধি পেতে পারেন আপনি। কমিশনের মূল্য নির্ভর করে পণ্য বা ওয়েবসাইটের ওপর। 

নিজের পণ্য বিক্রি 

 নিজের পণ্য বিক্রি  স্থায়ী ও নিশ্চিত আয়ের পদ্ধতি নিজের ব্লগের সাহায্যে পণ্য বিক্রি করা। যেহেতু পণ্য ডিজাইন, দাম নির্ধারণ, মার্কেটিং পুরোটাই ব্লগার নিজে করেন তাই আয়ও তাঁর ওপরই নির্ভর করে। 

ক। পণ্য বা পরিষেবার মূল্য নির্ধারণ করুন। পণ্যটি কিভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবেন তা ঠিক করুন। 

খ। ব্লগে একটি ল্যান্ডিং পাতা যোগ করুন, সেখানে আপনার তৈরি পণ্যের বিবরণ দিন, পণ্যটির ব্যবহার, উপযোগীতা সম্পর্কে সুষ্ঠভাবে লিখুন।

 ব্লগে সরাসরি বিজ্ঞাপন প্রকাশ

কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যার পন্য বা পরিসেবা আপনার ব্লগের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ, কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের বিজ্ঞাপন ব্লগে দেওয়া। এরফলে অ্যাডনেটওয়ার্ককে বাদ দিয়েই বিজ্ঞাপন দিতে পারছেন আপনি।যা আপনার আয়ের বড় একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।  কোন বিজ্ঞাপন দেবেন ও তার জন্য কতটাকা ধার্য্য করবেন। 

ক। ব্লগের কোন জায়গায় বিজ্ঞাপনটি দিতে চান ঠিক করুন. হেডার, ফুটার, সাইডবার বা লেখার মধ্যে যেকোনও জায়গায় দিতে পারেন বিজ্ঞাপনটি। 

খ। ব্লগের যে জায়গায় আপনি বিজ্ঞাপন দিতে চান শেখানে বক্স করে লিখুন “এখানে বিজ্ঞাপন দিন”। এটি বিজ্ঞাপনদাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কী করতে হবে সেই বিবরণ দিয়ে একটি পাতা তৈরি করুন। সেখানে লিখুন আপনার পাঠক কারা, আপনি কী বিষয় লেখেন, এবং আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপনের মূল্য কত। ব্লগের বিভিন্ন জায়গার জন্য বিভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন, যেমন হেডারে হয়তো আপনি বেশি মূল্য ঠিক করলেন আর লেখার মধ্যে কম। আপনার যোগযোগ নম্বর বা ই-মেইল উল্লেখ করুন।

 গ। মনিটাইজেশন নেটওয়ার্ক-এ নিজের ব্লগকে নথিভুক্ত করান। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি অনেক বিজ্ঞাপনদাতার কাছে পৌঁছতে পারবেন। BuySell Ads এরকম একটি জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক।

ঘ। অনেক সময়ই বিজ্ঞাপনদাতা মূল্যের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে স্থির করতে চায়, সেই সুযোগ রাখুন। মূল্যের বিষয় সহমতে এলে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করুন ও টাকা পান। কত আয় হতে পারে- আপনিই যেহেতু মূল্য নির্ধারণ করবেন তাই আপনার ওপরই নির্ভর করছে আয়ের পরিমাণ। তবে যত বেশি সংখ্যক পাঠক আয়ও ততই বেশি। 

ব্লগ থেকে রোজগার করা যেমন কোনও কঠিন কাজ নয় তেমনই একেবারে সহজও নয়। পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এবং ব্লগের নিয়মিত পাঠক তৈরি করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে, যত বেশি সংখ্যক নিয়মিত পাঠক তৈরি করতে পারবেন আয় ততই বাড়বে। 

আরো দেখুন


Comments